আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতীকে গ্ৰেপ্তার করলো পুলিশ

20th August 2021 2:43 pm বর্ধমান
আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতীকে গ্ৰেপ্তার করলো পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাণ্ডবেশ্বরের রামনগর তিন নম্বর  কোলিয়ারি এলাকার একটি মন্দিরের কাছ থেকে পুলিশ শিবু পাসোয়ান নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল।ধৃতের কাছ থেকে একটি নাইন এম.এম কারবাইন,একটি নাইন এম.এম,পিস্তল,ও আরো একটি রাইফেল উদ্ধার করল পুলিশ।এই শিবু পাসোয়ান,সুনীল পাসোয়ান ওরফে শোলের সাগরেদ।চলতি মাসের এক তারিখে নাকা চেকিং চলাকালীন পাণ্ডবেশ্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সুনীল পাসোয়ান ওরফে শোলেকে।পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সুনীলকে জেরা করার পর শিবুর সন্ধান পায়,এরপর বৃহস্পতিবার পাণ্ডবেশ্বরের রামনগর তিন নম্বর কোলিয়ারি এলাকা সংলগ্ন একটি মন্দির থেকে শিবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এরপরই শিবু পুলিশী জেরার মুখে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলির সন্ধান দেয়।মাটির তলায় সম্ভতঃ চাপা ছিল এই নাইন এম.এম.কারবাইন।এখন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নাইন এম.এম কারবাইন।কারণ এই অত্যাধুনিক মানের কারবাইন ফোর্সই একমাত্র  ব্যবহার হয়,আর এই আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করে মাওবাদীরা ব্যাবহার করতো।আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি(ইস্ট )অভিষেক গুপ্তা জানান,সুনীল পাসোয়ানের কাছেও একটি কারবাইন ছিল,এবার মিলল শিবুর কাছ থেকে,এখন পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই অস্ত্র আর কার কার কাছে তারা বিক্রি বা মজুদ রেখেছে,কারণ অস্ত্রের এই দাপাদাপি কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না পুলিশ।এখন শিবুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জেরা করে আরো তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে,দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে অভিযুক্তকে শুক্রবার তোলা হয়।তবে দুষ্কৃতী দমনে  আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এটি বড় সাফল্য হলেও,সাফল্যের নেপথ্যে ততটাই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে রইল এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার,বিশেষ করে নাইন এম.এম কারবাইন।আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি(ইস্ট )অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন,ধৃতদের জেরা করে আরো তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।